দেশের বৃহৎ শুল্ক স্টেশন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ২০২১-২২ অর্থবছরে ৫৯ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। এ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে আদায় হয়েছিল ৫১ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা। এছাড়া বিগত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছর রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশ।
কাস্টম হাউস চোরাচালান রোধ, জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলা, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ও রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ করায় রেকর্ড রাজস্ব আদায় হয়। বকেয়া বাদ দিলে আমাদের প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৫ শতাংশ।-কমিশনার
কাস্টমস সূত্র জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে আদায় হয়েছিল ৫১ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা। আর এ অর্থবছরে বকেয়া পড়েছে ৩ হাজার ৮৮৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে পেট্রোবাংলার কাছে ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা, পদ্মা অয়েল কোম্পানির কাছে ১১৬ কোটি ৭৩ লাখ, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের কাছে ২৮ কোটি ৪০ লাখ, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েলের কাছে ৫৭ লাখ টাকা, সামিট এলএনজির কাছে ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা, এক্সিলারেট এনার্জির কাছে ১৩ লাখ টাকা ও বাংলাদেশ পুলিশের কাছে ৩৪ কোটি ২১ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।
এছাড়া বকেয়াসহ হিসাব করলে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৩ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। বকেয়াসহ অতিরিক্ত আদায় হয়েছে ১১ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি ২২ দশমিক ৪২ শতাংশ। বকেয়া বাদে অতিরিক্ত আদায় ৭ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার এম ফখরুল আলম বলেন, কাস্টম হাউস চোরাচালান রোধ, জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলা, মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি ও রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ করায় রেকর্ড রাজস্ব আদায় হয়। বকেয়া বাদ দিলে আমাদের প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৫ শতাংশ।