সাদ বিন মহসিন
এক অদ্ভুত কিন্তু যুক্তিহীন প্রভাবহীন মিল। ঠিক কারা এই মিল টা খুঁজে বের করেছে তা বলা বেশ মুশকিল। কিন্তু সব জায়গায় এক রহস্যময় ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া বাঙালির পক্ষেই এই মিল খুঁজে বের করার সম্ভাবনা বেশি।
তৃতীয় বিশ্বের দেশ হওয়াতে রথী মহারথীদের চক্রান্ত গুলো শুধু পরখ করে বিশ্লেষণ করার মধ্যেই বাঙালির সীমাবদ্ধতা। পরাশক্তিদের চক্রান্তগুলো প্রতিরোধ করার কোনো সামর্থ্য নেই তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহের। কিন্তু তাই বলে কি চক্রান্তের একেবারে গভীরে গিয়ে তা না জানলে কি আর জীবনে রসকস বলতে কিছু অবশিষ্ট থাকে?
তাই ত বাঙালির এবারের অভিযান বিশ শতক আর একুশ শতকে স্বল্পন্নোত দেশগুলোকে কুড়ে কুড়ে খাওয়া পরাশক্তিদের চাপিয়ে দেওয়া বিশাল বিশাল যুদ্ধ্বকে একসূত্রে গাঁথা। তবেই প্রমাণিত হবে পরাশক্তিসমূহ দরিদ্র দেশগুলোকে আরো দরিদ্র করতে এবং তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু পরিকল্পিত যুদ্ধ হাতে নিয়েছে।
ত! যেই ভাবা সেই কাজ। খুঁজে খুঁজে একেবারে গভীরে গিয়ে উদ্ধার করে আনা হলো সেই মিল। তাত্ত্বিক কোনো মিল নই, একেবারে গাণিতিক মিল।
বাঙালির অনবদ্য গবেষণাগার থেকে বেরিয়ে এল বেশ চাঞ্চল্যকর এক তথ্য। বাঙালি দেখল গত শতক আর এই শতকের বিশাল তিনটি যুদ্ধ, প্রথম আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং ইউক্রেন যুদ্ধের তারিখ আলাদা আলাদা ভাবে যোগ করলে যোগফল একই আসে।
মানে হচ্ছে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় ২৮/৭/১৯১৪ তে। এবার যদি তারিখের সংখ্যাসমূহ নিম্নোক্ত ভাবে যোগ করা হয় তবে যোগফল আসে ৬৮ –
২৮+৭+১৯+১৪= ৬৮
একইভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর ইউক্রেন যুদ্ধের তারিখ কেউ একই ভাবে যোগ করলে যোগফল আসে ৬৮। ব্যস, কেল্লাফদে, এইত দরকার ছিল। এবার গবেষণাগার থেকে বেরিয়ে এসে গবেষক নিজ গবেষণার উপর মন্তব্য রাখলেন:
‘যুদ্ধত্রয় রথী- মাহরথীদের পরিকল্পিত ছককষা’
বহু গবেষকে এই বিষয়টা উড়িয়ে দিলেন একেবারে কাকতালীয় বলে।
বহু গবেষক বললেন – যুক্তিহীন সাংখ্যিক মিল। বহু গবেষক বললেন পরীক্ষায় মনে রাখতে বেশ কাজে দেবে। বহু গবেষক একধাপ বেশি সিরিয়াসলি নিয়ে বললেন পরবর্তী যুদ্ধের ভবিষ্যৎবানী এ থেকে বুঝা যায়!
যাই হোক এমন গবেষণা মোটেই নিন্দনীয় কিছু নই। বরং তা জনমনে চাঞ্চল্যতা সৃষ্টি করে। এবং পরাশক্তিদের বিরুদ্ধের তৈরি করে এক অপরিসীম কিন্ত অদ্ভুত রহস্যময় দৃষ্টি। যুগ যুগ ধরে এগিয়ে চলুক এমন গবেষণা, এই প্রত্যাশা!!!