নিজস্ব প্রতিনিধি:
নানা রহস্য ও ধোয়াশাময় এক তারকা মাইকেল জ্যাকসন। পুরো নাম মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন। জ্যাকসন পরিবারের ৮ম সন্তান তিনি। আজকের এই দিনে ১৯৫৭ সালে জন্মগ্রহন করেন।
অসংখ্য কালজয়ী গান ও নাচে মুগ্ধ করেছেন সারা বিশ্বকে। তিনিই প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ কে পপ তারকা যিনি আমেরিকার মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার সুযোগ পান। ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় সবচেয়ে বেশি বিক্রিত এলবামের মালিক তিনি।
মাইকেল মাত্র ৫ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে পেশাদার সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি তখন জ্যাকসন ফাইভ নামের সঙ্গীত গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে গান গাইতেন। ১৯৭১ সাল থেকে মাইকেল একক শিল্পী হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন। মাইকেলের গাওয়া ৫টি সঙ্গীত অ্যালবাম বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত রেকর্ডের মধ্যে রয়েছে – অফ দ্য ওয়াল (১৯৭৯), থ্রিলার (১৯৮২), ব্যাড (১৯৮৭), ডেঞ্জারাস (১৯৯১) এবং হিস্টরি (১৯৯৫)। তাকে পপ সঙ্গীতের রাজা (King of Pop) হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় অথবা, সংক্ষেপে তাকে এমজে(Mj) নামে অভিহিত করা হয়। সঙ্গীত, নৃত্য এবং ফ্যাশন জগতসহ ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষাপটে চার দশকেরও অধিককাল ধরে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বৈশ্বিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছেন।
গানের তালে তালে মাইকেলের নাচের কৌশলগুলোও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। মাইকেলের জনপ্রিয় নাচের মধ্যে রোবোট, ও মুনওয়াক (চাঁদে হাঁটা) রয়েছে। মুনওয়াক আসলে হলো সামনের দিকে হাঁটার দৃষ্টিভ্রম সৃষ্টি করে পিছনে যাবার ভঙ্গিমা। তিনি পপ সংগীত এবং মিউজিক ভিডিওর ধারণা পাল্টে দেন।
তবে তাকে নিয়ে ধোঁয়াশাও ছিল প্রচুর, বৃটিশ গণমাধ্যম দ্যা সান তার মুসলিম হবার দাবি জানায়। বলা হয় মিউজিক নিয়ে সারাবিশ্ব ভ্রমনের সময় তিনি তার কিছু সহশিল্পীর অনুরোধে ইসলাম গ্রহন করেন।এ দাবির স্বপক্ষে প্রমাণও পাওয়া যায় প্রচুর,তার জুব্বা পরিহিত ছবিও সে সময় ভীষন প্রচারিত হতে থাকে। এমনকি ” গিভ থ্যাংকস টু আল্লাহ ” নামে একটি গানও আছে তার। নিজের খ্রিষ্টান নাম পরিবর্তন করে মাইকেল থেকে হন মিকাইল।
মৃত্যু রহস্যের মত তার ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘটনাও একটি বড় রহস্য।