নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় বিএনপি – আওয়ামী লীগ সংঘর্ষে বিএনপি ১২ জন ও আওয়ামী লীগ এর ৪ নেতা কর্মী আহত অবস্থায় মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
২৯ আগষ্ট সোমবার বিকালে ১৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বাকলিয়া বাদামতলি মোড়ে ওয়ার্ড বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে।এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে দস্তা দস্তি ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় দু’দলেরই প্রায় ১৬-২০ দলীয় নেতা কর্মী আহত ও মেডিকেলে ভর্তি হয় বলে জানায় ওয়ার্ড বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এর একাধিক সূত্র।
১৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ও কাউন্সিল জনাব নুরুল আলম মিয়াঁ মুঠোফোনে চট্টলা সংবাদকে জানান, বিএনপি মিছিল থেকে ৫০-৬০ জন লোক কোনো কারণ ছাড়াই আমার নিজস্ব বাস ভবনের কয়েকটি জানালার গ্লাস ভাংচুর করে,বাস ভবনে থাকা ৪ জন কর্মী তারা আহত করে।তারা হলেন-১) সোহেল(৩৫),শহিদ চৌধুরী বাচচু(৩০),মিনহাজ(২৫),নিরব(২০) তারা এখন চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছে। এসময় চিকিৎসা শেষে মামলার প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি।
অপরদিকে ১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি হাজী নবাব খানঁ মুঠোফোনে চট্টলা সংবাদকে বলেন, দেখেন আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী হিসেবে আমরা যখন ১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড বাদামতলি মোড়ে আমাদের নেতা কর্মীরা যখন মিছিল সহকারে যোগদান করে আমাদের জনতার মেয়র চট্টগ্রাম মহানগরী বিএনপির আহবায়ক ডাঃ শাহাদাত আসার আগ মুহুর্তে ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ও ওয়ার্ড নেতাকর্মীরা হামলা করে আমাদের ১২ জন নেতা কর্মীকে তারা আহত করে। তারা হলেন- নুরুলদীন খানঁ(৩০), সিরাজ(৬০),জাহাঙ্গীর (৩৫) তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল চিকিৎসা নিয়ে ৭ জন বাড়ী ফিরলেও ৫জন এখন ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। পরবর্তীতে বাকলিয়া থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
উল্লেখ্য,২৯ আগস্ট সোমবার বিকাল ৫টায় ১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড এর উদ্যোগে চট্টগ্রাম মহানগরী বিএনপির আহবায়ক ডাঃ শাহাদাত ও সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর এর নেতৃত্বে
জ্বালানী তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং এবং সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ও ভোলার পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা নূরে আলম স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আঃ রহিমকে হত্যার প্রতিবাদে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।