নিজস্ব প্রতিবেদক:
সম্রাট জাহাঙ্গীর। আসল নাম নুরুদ্দীন মুহাম্মদ সেলিম। ছিলেন মুঘল সম্রাজ্যের চতুর্থ সুলতান। আজকের এই দিনেই গুজরাটের ফাতেহপুর সিকরিতে তিনি জন্মগ্রহন করেন ছিলেন পিতা আকবরের অনুগত এক সন্তান।স্থাপত্য,যুদ্ধবিদ্যার পাশাপাশি চিত্রকলায়ও ছিল তার আগ্রহ
পিতা আকবরের মৃত্যুর পর ৮ দিনের মাথায় তিনি সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। সিংহাসনে বসেই তাকে মুখোমুখি হতে হয় এক নির্মম বাস্তবতার সাথে।
শাহজাদা খসরু ছিলেন তার জ্যেষ্ঠ পুত্র। ক্ষমতার লোভ খসরুকে পেয়ে বসে।জাহাঙ্গীর প্রথমেই তার ছেলে খসরু মিরজার বিদ্রোহের মুখে পড়েন। খসরু কে তিনি অন্ধ করে দেন ও তাকে আর্থিক সাহায্য করায় পঞ্চম শিখ গুরু অর্জন দেব কে পাঁচ দিন ধরে অত্যাচার করা হয়। পরে তিনি নদীতে স্নান করার সময় উধাও হয়ে যান।
সাথে খসরুকে সমর্থন কারী ২০০০ লোককে হত্যা করেন।
সুলতান জাহাঙ্গীরের জন্য এটাও যথেষ্ট ছিলো না
তারপর আবার তার দ্বিতীয় পুত্র খুররামের( ইনিই পরে সুলতান শাহজাহান) কাছ থেকে বিদ্রোহের মুখোমুখি হন। শাহজাহান ছিলেন সম্রাজী নূরজাহানের ভাই আসফ খানের জামাতা। তার ছোটভাই শাহজাদা শাহরিয়ার ছিলেন সম্রাজী নূরজাহানের জামাতা, ( শের আফগানের কন্যার স্বামী)। শাহজাহান সন্দেহপ্রবণ ছিলেন যে তার অনুপস্থিতিতে শাহরিয়ারকে নূরজাহান সিংহাসনে বসাবেন। তাই সম্রাট জাহাঙ্গীর যখন অসুস্থ তখন তিনি পিতা ও ভাইদের এবং সম্রাজী নূরজাহানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। তিনি যুদ্ধে জয়ী হলেও, এসময় কান্দাহার পারস্যের নিকট মুঘলদের হাতছাড়া হয়।
জাহাঙ্গীর শব্দের অর্থ বিশ্ব বিজেতা হলেও, ক্ষমতার দ্বন্দ্বে তিনি পুত্রদের মন জয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন।
তাই বুঝি পুরোনো তুর্কী প্রবাদে বলা হয়ে থাকে “একজন সুলতানের ভাগ্যে সবরকম কস্টই লেখা থাকে “