বৃহস্পতিবার , ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি আজ ইতাহাসেরই আস্তাকুঁড়ে – আ জ ম নাছির

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ ৯টি মাস সশস্ত্র সংগ্রাম মহান মুক্তিযুদ্ধ করে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি  স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন। সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে পরাধীনতার শৃক্সখল থেকে মুক্ত করার জন্য জাতির জনক ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে  স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার সেই ঘোষণাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয়ে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ নেতা এমএ হান্নান ২৬ শে মার্চ প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রটি পাঠ করেন। রাজনৈতিক নেতার পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করানোর লক্ষ্যে তখন আওয়ামীলীগ নেতারা মেজর জিয়াউর রহমানকে দিয়ে ২৭ শে মার্চ কালুরঘাট বেতার থেকে বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণাপত্র পাঠ করানো হয়। এর পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণিপেশাজীবীদেরকে দিয়েও মাইকিংয়ের মাধ্যমে ¯^াধীনতার ঘোষণা পত্র পাঠ করানো হয়। অথচ বিএনপি মেজর জিয়াকে ¯^াধীনতার ঘোষক বানিয়ে ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়েছে। বিএনপির ভাইদের উদ্দেশ্যে আমার প্রশ্ন- মেজর যদি ¯^াধীনতার ঘোষক হন তাহলে ২৬ শে মার্চ কেন ¯^াধীনতা দিবস পালন করা হয়? ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নিজেদেরকে ¯^াধীনতার পক্ষ শক্তি বলে প্রমান করতে চাইলেও তাদের অতীত ও বর্তমান কর্মকান্ডে প্রমাণিত হয়েছে তারা ¯^াধীনতা বিরোধী। ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি ইতিহাসেরই আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জামালখানস্থ ডা. আবুল হাশেম চত্বরে জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা ও “বিজয়ের আলোকচ্ছটায় জামালখান” শীর্ষক কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় পিপিএম বিপিএম বার। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুরজিৎ দাশ শুনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহীদুল আনোয়ার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সমীরণ বড়ুয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আনোয়ার, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোপাল চন্দ্র সেন (মরণোত্তর) কে সম্মাননা প্রদান করা হয়।