নিজস্ব প্রতিবেদক:
টিকটকার কর্তৃক চট্টগ্রামের ভুজপুর এলাকা হতে অপহৃত ১২ বছরের নাবালিকা ভিকটিমকে উদ্ধার এবং সেই সাথে অপহরণকারীদেরও আটক করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
৮ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ভুজপুর এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার এবং উক্ত অপহরণের সাথে জড়িত আসামী ১। রুয়েল আহমেদ(২১),মোঃ অনিক (২০), ইমন মিয়া(১৮) কে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব সুত্রে জানা যায়, অপহৃত ভিকটিম ১২ বছর বয়সের এবং চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানাধীন একটি স্কুলে ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন ছাত্রী। গত প্রায় ০৮ মাস পূর্বে আসামী রুয়েল আহমেদ(২১) এর সাথে টিকটকের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিচয় হয়। উক্ত পরিচয়ের সূত্র ধরে রুয়েল আহমেদ বিভিন্ন সময় ভিকটিমকে মোবাইলের মাধ্যমে উত্যক্ত করত এবং প্রেমের প্রস্তাব দিত। গত তিন মাস পূর্বে রুয়েল আহমেদ তার নিজ বাড়ী সুনামগঞ্জ হতে চট্টগ্রামের পতেংগায় তার বন্ধু অনিকের বাসায় চলে আসে এবং অনিয়মিতভাবে বিভিন্ন গার্মেন্টেসে চাকুরী শুরু করে। গত ০৪ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রিঃ সকাল আনুমানিক ০৯.৩০ টায় ভিকটিম স্কুলে যাওয়ার পথে ভুজপুর থানাধীন হেয়াকো এলাকা হতে আসামী রুয়েল আহমেদ তার অপর ২জন সহযোগীসহ ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, ফুঁসলিয়ে জোরপূর্বক অপহরন করে সিএনজি গাড়িযোগে চট্টগ্রাম মহানগরের পতেঙ্গা থানাধীন পূর্বকাঠঘর এলাকায় অনিকের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিম স্কুল থেকে সময়মত বাড়ী ফিরে না আসায় ভিকটিমের মা-বাবা তাদের আত্মীয়-স্বজন সহ আশপাশের প্রতিবেশীর বাসায় খোঁজাখুজি করতে থাকি। সারাদিন খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে ধারনা হয় যে, তাদের মেয়েকে কে বা কারা জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। অতঃপর ০৫ জানুয়ারি বিষয়টি র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে অবহিত করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ভিকটিমকে উদ্ধার এবং অপহরনের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১৩.৪৫ ঘটিকায় চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা থানাধীন পুর্বকাঠঘর এলাকার একটি ভাড়াঘর হতে ভিকটিমকে উদ্ধার করে এবং উক্ত অপহরণের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত আসামীরা বর্ণিত অপহরণের সাথে জড়িত থাকার সত্যতা স্বীকার করে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। আসামীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।