বৃহস্পতিবার , ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ডায়ালাইসিস রোগীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি, নেপত্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম: ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে মঙ্গলবার সৃষ্ট ঘটনায় পুলিশের মামলার পর এক আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার এজাহারে আন্দোলনরত রোগীর স্বজনরা পুলিশের ওপর হামলা চলিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে সড়কে বসে আন্দোলন করছিলেন রোগী ও স্বজনরা। এসময় পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আন্দোলনরতদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদেরকে নিভৃত করার চেষ্টা করেন। পরে ওসি নাজিম উদ্দীন ঘটনার ছবি তুলেন। হঠাৎ মোস্তাকিম নামের এক আন্দোলনকারী ওসির উপর চড়াও হন। ওসির মোবাইল ফোনটি কেড়ে কেন। এসময় অন্য পুলিশ সদস্যরা এসে একজনকে আটক করে পাশের এপিক হেলথ কেয়ারের ভিতর নিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের উপস্থিতি দেখে আন্দোলনে উপস্থিত লোকজন চমেক মূল গেইটের সামনে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে যান চলাচলে বন্ধ করে দেন। বিষয়টি  ওসিকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রাস্তা অবরোধের কারণ সম্পর্কে জানতে চান।এসময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যদের উপর চড়াও হতে থাকে। অফিসার ইনচার্জ তাদেরকে শান্ত হওয়ার জন্য বলেন ও রাস্তা ছেড়ে  চমেক হাসপাতালে ভিতরে যেতে অনুরোধ জানান। বে-আইনীভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে পুলিশে উপর চড়াও হয়ে ঘটনাস্থলে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদেরকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মেরে আহত করাসহ পুলিশের পরিহিত ইউনিফর্ম টানা হেঁচড়া করে।’

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উত্তর বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোখলেসুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে কি ঘটছে সেটি আপনার ভালো জানেন। পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করে। কিন্তু তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। পুলিশের কাজে বাঁধা দেওয়ায় একজনকে আটক করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ বলছে, ঘটনার দিন রাঙামাটির বেতবুনিয়ায় পুলিশ স্পেশাল ট্রেনিং স্কুলে প্রশিক্ষণের সময় পুলিশ কনস্টেবল মিনু আরা, সমুন খান ও অভি বড়ূয়া। মিনু কাঁধে, সুমন বাম পায়ে ও অভি ডান হাতে আঘাত পেয়েছেন।
ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির কারণে সম্পূর্ণ সড়ক অচল অবস্থা তৈরি হয়। আহত পুলিশ সদস্যরা যথাসময়ে চিকিৎসা না ফেলে মৃত্যুঝুকি রয়েছে। তাই আমরা আন্দোলনকারীদের রাস্তার এক পাসে আন্দোলন করতে বলি। এছাড়াও অনেক মুমূর্ষু রোগীও দীর্ঘদিন সড়কে আটকে থাকে তাই আন্দোলনকারীদের রাস্তার এক পাশে আন্দোলন করতে গিয়ে উল্টো আমরা হেনস্তার মুখে পড়ি।