বৃহস্পতিবার , ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আবার হবে তো দেখা, এ দেখাই শেষ দেখা নয় তো?’

আবদুল কাইয়ুম :

নাগরিক কোলাহলের টানে পৃথক হয়ে গিয়েছিল তাদের গন্তব্য। বন্ধুর সঙ্গে ‘দেখা-দেখি’টা কারও কারও জীবনে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল আবার কারো স্কুল জীবনের শেষ দিনে পথটা যে ভাগ হয়ে গিয়েছিল তারপর আর মুখ দেখাদেখিই হয়নি। সেই সমস্ত হারিয়ে যাওয়া পথগুলো ফের পুরোনো মোহনায় ফিরেছিল শনিবার কালারপোল স্কুল প্রাঙ্গনে।

বহুদিন পর প্রিয় কালারপোল হাজী মোঃ ওমরা মিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে ” এসো বন্ধু মিলিত হই প্রাণের উচ্ছ্বাসে-বর্ণিল সাজে স্মৃতিময় মুখরিত ক্যাস্পাসে” এই স্লোগানে যেন ফিরে গিয়েছিলেন বন্দি থাকার সোনালী দিনগুলোতে। উপলক্ষ বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান।

বহুদিন পর স্কুলে ফেরায় তাই স্কুল প্রাঙ্গণের এপাশ-ওপাশে প্রাক্তনদের কণ্ঠ থেকে ভেসে আসছিল অজস্র আবেগি সংলাপ। নগরীর কর্ণফুলী থানা সংলগ্ন এই বিদ্যালয়ের বয়স পঁচাত্তর পার করছে। ১৯৫১ সালে জন্ম এই বিদ্যালয়ের। তবে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথমই অনুষ্ঠিত হলো পুনর্মিলনী। তাই উৎসবের মাত্রাটা ছিল একটু বেশিই।

পুনর্মিলনী উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ভিড় করতে থাকেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। সেই সাবেকরা যেন খুঁজে ফিরছিলেন তাদের স্কুল জীবনের সেইসব সোনালি দিনগুলো। ফেলে আসা ক্লাসরুম, শিক্ষক আর হারিয়ে যাওয়া বন্ধুরা মিলে হুড়মুড়িয়ে বইতে থাকে গল্পের স্রোত। সেকেন্ডেরও ভগ্নাংশে চলে ক্লিক ক্লিক, দেদারসে উঠছে সেলফি-ছবি।

এভাবেই বাড়তে থাকে সময়ের বয়স। ঘড়ির কাটা তখন রাত সাড়ে আটটা ছুঁইছুঁই। সময় বলছে এবার বিদায়ের পালা। তবে এর আগের ১০ ঘণ্টাটা যেন বার বার বলে গেছে বন্ধুত্ব হারায় না, থেকে থেকে ফিরে আসে বন্ধুর মুখ।

তাই তো যাবার বেলায় বিদায়ী মুখগুলো বন্ধুদের দিকে তাকিয়ে বলছিল যেনো ‘আবার হবে তো দেখা, এ দেখাই শেষ দেখা নয় তো?’