পাকিস্তানে অঘোষিত সামরিক আইন চলছে বলে দাবি করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তিনি আবেদন করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের কাছে।
ডনের প্রতিবেদন অনুসারে, ‘পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪৫ অনুচ্ছেদকে চ্যালেঞ্জ করেছেন ইমরান খান। এ ধারা অনুসারে পাঞ্জাব, খাইবার পাখতুনখোয়া, বেলুচিস্তান ও ইসলামাবাদে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনীকে ডাকা যেতে পারে। এটাকে তিনি “অঘোষিত সামরিক আইন” বলে অভিহিত করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের কাছে করা আবেদনে পিটিআই দলের প্রধান বলেছেন, ‘১৯৫২ সালের সেনা আইন অনুসারে দেশের নাগরিকদের গ্রেফতার ও বিচার করা অসাংবিধানিক। এটাকে বাতিল করা হয়েছে। ওই সামরিক আইনের কোনো ভিত্তি নেই। এ কারণে এটা দেশের সংবিধান, আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে নষ্ট করে ফেলছে।
ইমরান খান বলেন, জোর করে দলীয় সদস্যপদ এবং অফিস ত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। অনেকে প্রবল চাপের মুখে পিটিআই দল থেকে পদত্যাগ করছেন। এটা অসাংবিধানিক। এর মাধ্যমে সংবিধানের ১৭ অনুচ্ছেদের আদেশ লঙ্ঘিত হচ্ছে।
৯ ও ১০ মে তারিখের অস্থিরতা ও বিক্ষোভের ঘটনা তদন্তে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের আবেদন করেছেন পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি দেশটির শীর্ষ আদালতকে নির্দেশ দিতে অনুরোধ করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টে করা এই আবেদনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, পিএমএল-এন দলের প্রধান নওয়াজ শরিফ, মরিয়ম নওয়াজ, সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারি, জেইউআই-এফ দলের প্রধান মাওলানা ফজলুর রহমান এবং অন্যান্যদের বিবাদী হিসেবে নাম দেওয়া হয়েছে