চট্টলা সংবাদ প্রতিবেদন।
রাজধানী ঢাকার পর জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সিলেটে সমাবেশ নিয়ে এখনো সংশয় কাটেনি৷ আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশংকায় পুলিশ সমাবেশের অনুমতি না দিলেও অনড় জামায়াত। এরমধ্যে সিলেটে সমাবেশের জন্য নির্ধারিত ২১ জুলাইয়ের পরদিন চট্টগ্রামে সমাবেশ করতে চায় নিবন্ধন হারানো দলটি। শনিবার দলের পক্ষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) হেডকোয়ার্টার্সে সমাবেশের অনুমতির জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছে একটি প্রতিনিধি দল। তবে এখনো পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
যুদ্ধপরাধীদের বিচার নিয়ে সরকারের কঠোর অবস্থানে অনেকটা ঝিমিয়ে পড়ে দলটি। নিবন্ধন হারানোর পর প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ করতেও দেখা যায়নি। তবে ১০ জুন রাজধানী ঢাকায় সমাবেশের পর দেশজুড়ে উজ্জীবিত হয়ে উঠে দলের নেতাকর্মীরা। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাজধানীর মত বড় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২১ জুন সিলেটে ও ২২ জুন চট্টগ্রামে সমাবেশের কথা জানায় তারা।
সিএমপি কমিশনারের কাছে অনুমতির জন্য জমা দেওয়া আবেদনপত্রে সমাবেশের স্থান হিসেবে লালদিঘির মাঠের কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও আলেম ওলামাদের মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ ও দশ দফা দাবিতে আগামি ২২ জুলাই সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত লালদিঘি ময়দানে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে৷ কর্মসূচিটি আমরা সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে চাই।
বিষয়টি আপনার সদয় অবগতি, অনুমতি ও কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করি।
এই বিষয়ে দলটির চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রচার সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা পুলিশের কাছে একটা আবেদনপত্র দিয়ে আসছি। আমরা সমাবেশের স্থল হিসেবে লালদিঘির কথাই উল্লেখ করেছি, বিকল্প আর কিছু দিইনি। তারা এখনো কিছু জানায়নি।’
জামায়াতের সমাবেশে অনুমতির বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) স্পিনা রানী প্রমাণিক। তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা মিটিং ছিল আজ, সাড়ে তিনটার দিকে শেষ হয়েছে সেটা। তারা মিটিংয়ের মধ্যেই একটা চিঠি দিয়ে গেছে, এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
চট্টলা সংবাদ / ১৫ই জুলাই ২৩/ আদা