চট্টলা সংবাদ প্রতিবেদন:
চট্টগ্রাম নগরীর দীর্ঘদিনের সমস্যা জলাবদ্ধতা নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জামায়াত। আজ দলটির কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগর আমীর মোহাম্মদ শাহজাহান, সাবেক কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম নগর নেতৃবৃন্দরা এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে দলটি জানায়, নগরীর জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসনে দীর্ঘদিন যাবত নানাবিধ সুপারিশ ও পরামর্শ দিয়ে আসছে তারা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চট্টগ্রামের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়া নিয়ে বারবার তাগদা দিয়েছে বলে জানানো হয় দলটির বিবৃতিতে। তবুও আশু প্রতিকার মেলেনি এই জনদূর্ভোগ থেকে।
এসময় নেতারা আরও জানান, বারবার সুপারিশ দাবি এবং তাগদা দেয়ার পরও কর্তৃপক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপই নেয়া হয়নি, ফলে সামান্য বৃষ্টিতে বর্ষা মৌসুমে তলিয়ে যাচ্ছে নগরীর বিরাট অংশ, নষ্ট ও ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সৌন্দর্য। নগর কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালী ও অদূরদর্শিতার খেসারত দিয়ে যাচ্ছে পুরো চট্টগ্রাম।
বিবৃতিতে উঠে এসেছে পুরো নগরীর জলাবদ্ধতার একটি চিত্র। ৪১ টি ওয়ার্ড এর মধ্যে ২২টি ওয়ার্ডেই সৃষ্টি জলাবদ্ধতা। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ্য হয় চকবাজার আগ্রাবাদ,উত্তর হালিশহর দক্ষিণ হালিশহর মধ্যম হালিশহর, বাকলিয়া মুরাদপুর চাঁদগাঁ দক্ষিণ চাঁদগাঁও, ষোলশহর মুরাদপুর কাট্টলী সহ আশেপাশের এলাকা। বর্ষা এলেই পানির নিচে তলিয়ে যায় এইসব এলাকার ২০ লক্ষ মানুষ।
দলটি আরো জানায় “চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বাজেট বই হতে দেখা যায় বিগত পনেরো বছরে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসনের টাকা জলেই হারিয়ে গিয়েছে। যেখানে ৩০ বছর আগেও সক্রিয় খালের সংখ্যা ছিল ২৭ টি সেখানে বর্তমানে রয়েছে ১৩ টি এর মধ্যে কিছু আবার মৃতপ্রায়। বাকি খাল গুলোর নেই কোন অস্তিত্ব। ফলে পানি কোথাও যেতে না পেরে আটকে পড়ছে শহরের ভেতর “।
সবশেষ দলটি নগর কর্তৃপক্ষের প্রতি রেখেছে সুয়ারেজ ব্যবস্থা নির্মাণ, উন্নত নদী শাসন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন বালি পরিশোধন ব্যবস্থা ইত্যাদি নানাবিদ পরামর্শ।
৭ইআগস্ট /আজাখা।