চট্টলা সংবাদ প্রতিবেদন :
অবিরাম বৃষ্টি আর ভারতের উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। সোমবার (১৪ আগস্ট) ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে।
পাউবো জানিয়েছে, ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমা হচ্ছে ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। সেখানে বর্তমানে ৫২ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটারে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, রবিবার রাত থেকে ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়ায় প্রবল বেগে পানি আসতে শুরু করে। পানি বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেটের সবগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। তীব্র স্রোতে ব্যারেজ সংলগ্ন তিস্তা নদীর নিম্নাঞ্চলের কমপক্ষে ৩০ গ্রামে পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়ি ৩ থেকে ৪ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ২০ হাজার মানুষ।
এদিকে, লালমনিরহাটের তিস্তার দোয়ানী ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সে কারণে দুর্গম চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, রংপুরের কাউনিয়া আর গঙ্গাচড়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গঙ্গাচড়া উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করছে। তবে দুপুরের পর অনেক এলাকা প্লাবিত হতে পারে। সে জন্য চরাঞ্চলে বসবাসকারী লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।