বৃহস্পতিবার , ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিকোলা টেসলা: অন্ধকার জগতের ভয়ংকর বিজ্ঞানী

চট্টলা সংবাদ প্রতিবেদন:

সাল ১৮৮৪ টমাস আলভা এডিসনের কোম্পানি ‘Edison Power Co.’ তে চাকরি নেন। টেসলার বেতন প্রতি সপ্তাহে কেবল ১৮ডলার । শুরুতেই টেসলাকে কাজ দেয়া হল ডিসি জেনারেটর পুনর্নির্মাণ করার। টেসলা উল্টো বলে বসলেন, তিনি এই ডিসি জেনারেটর আরো ভালো করে বানাতে পারবেন! এই কথা শুনে এডিসন তাঁকে প্রস্তাব দেয়, যদি টেসলা এটা করতে পারে তবে তাকে
৫০ হাজার ডলার পুরষ্কার দেয়া হবে!

কয়েকমাসের টানা খাটুনির পর ‘টেসলা’ শেষমেস, তাঁর কাজ শেষ করতে সক্ষম হন । তারপর টেসলা তার প্রস্তাবিত পুরস্কার চাইলে, এডিসন হেসে বলেন,
“হা হা… তুমি তো দেখি, আমেরিকান রসিকতাও বুঝও না!!”
পুরষ্কারের বদলে টেসলার বেতন ১৮ডলার/প্রতি-সপ্তাহ থেকে ২৮ ডলার/প্রতি-সপ্তাহ করে দেওয়া হল!
টেসলা ছিলেন এমনিতেই খ্যাপাটে স্বভাবের! এডিসনের কর্মকান্ডের ফলে, টেসলা খেপে গিয়ে এডিসন’কে কড়া কথা শুনিয়ে চাকরি ছেড়ে দেন! এই সুযোগে টেসলা’কে লুফে নেয় টমাস এডিসনের প্রতিদ্বন্দ্বী
‘ওয়েস্টিংহাউজ ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানী’ !
এর পরবর্তী ঘটনাগুলি “The War of Currents” নামে পরিচিত।
“The War of Currents (বৈদ্যুতিক যুদ্ধ)”

বিজ্ঞানের জগতের ডার্ক নাইট নামে খ্যাত -নিকোলা টেসলার জন্ম ১৮৫৬ সালে। তিনি জন্মসূত্রে সার্বিয়ান। কিন্তু পুরো শৈশব ও কৈশোর কাটিয়েছেন ক্রোয়েশিয়ায়। এ কারণে সার্বিয়া এবং ক্রোয়েশিয়া আজও টেসলাকে নিয়ে টানা হেঁচড়া করে, বিতর্ক করে- তিনি আসলে কাদের? বিতর্কের মূল কারণ সেই সময় দুটো এলাকাই অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিলো। যা পরে ভেঙ্গে সার্বিয়া, ক্রোয়েশিয়া ইত্যাদি অঞ্চলে পরিণত হয়।

বলা হয় নিকোলা টেসলা যখন পৃথিবীতে আসেন সেদিন নাকি প্রচন্ড বজ্র সহ ঝড় হচ্ছিল। দাই বলেছিলেন, এই ছেলে অন্ধকার নিয়ে এলো কিন্তু নিকোলা টেসলার মা বলেছিলেন- আমার এই সন্তান পৃথিবীতে আলো নিয়ে আসবে। মায়ের কথা তিনি সত্য প্রমাণ করে সারা বিশ্বকে দেখিয়েছিলেন। তার আবিষ্কার দিয়েই সারা পৃথিবী এখন আলোকিত।

নিকোলার মা ডুকা ম্যানডিক টেসলা সাধারণ গৃহিণী ছিলেন না। তিনি হাতুড়ি-বাটালি দিয়ে নানা রকম যান্ত্রিক টুলস, গৃহস্থালি আসবাব বানাতে পারতেন। তাঁর স্মরণশক্তিও ছিল অসাধারণ। সার্ব ভাষায় মহাকাব্য তিনি গড় গড় করে বলতে পারতেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে চতুর্থ টেসলার বড় ভাই ঘোড়ায় চড়তে গিয়ে মারা যান। পাঁচ বছর বয়সে টেসলা গ্রামের মক্তবে পড়াশোনা শুরু করেন। কিন্তু পরের বছরই বড় টেসলা গসপিক শহরে সপরিবারে চলে যান। এভাবেই তিনি বেড়ে উঠতে থাকেন । ১৮৭০ সালে টেসলার কালোভাগ শহরের হাইস্কুলে পড়তে যান। সেখানকার গণিত শিক্ষক মার্টিন সেকুলিক তাঁকে বিজ্ঞানের প্রতি আকৃষ্ট করেন। সে সময় দেখা গেল, টেসলা মুখে মুখে ইন্টিগ্র্যাল ক্যালকুলাসের জটিল সমস্যা সমাধান করতে পারেন! চার বছরের কোর্স তিন বছরে করে ১৮৭৩ সালে টেসলা হাইস্কুল শেষ করেন।

গ্রামে ফিরে টেসলা কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান। ছেলের ইচ্ছাতে তাঁর বাবা তখন প্রতিজ্ঞা করেন ছেলে সুস্থ হলে সেরা প্রকৌশল স্কুলে পাঠানোর। কিন্তু পরের বছরই অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরির যৌথ বাহিনী তাঁদের গ্রাম দখল করে। টেসলা পার্শ্ববর্তী টমিনগর্জে পালিয়ে যান। সেখানে পাহাড়ে পাহাড়ে ঘোরাঘুরি আর প্রচুর বই পড়ে তাঁর সময় কাটে।

অবশেষে ১৮৭৫ সালে টেসলার প্রকৌশলবিদ্যা পড়ার সুযোগ আসে। তিনি ভর্তি হলেন গ্রেস শহরের অস্ট্রিয়ান পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। প্রথম বছরে টেসলা কোনো ক্লাসে অনুপস্থিত না থেকে নয়টি বিষয়ে সর্বোচ্চ গ্রেড লাভ করেন। শিক্ষকেরা টেসলা সম্পর্কে তাঁর বাবাকে প্রশংসাসূচক চিঠি লেখেন। দ্বিতীয় বছর থেকেই টেসলা তাঁর অধ্যাপকদের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। টেসলার বক্তব্য ছিল, কমিউটেটর ছাড়াই ডায়নামো তৈরি করা সম্ভব। ফলাফল হলো তাঁর বৃত্তি হাতছাড়া হয় এবং তিনি জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন। চতুর্থ বছরে পরীক্ষার সময় দেখা যায় টেসলার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়নি। তিনি অতিরিক্ত সময় প্রার্থনা করলেও তা মঞ্জুর হয়নি। ফলে শেষ সেমিস্টারের গ্রেড ছাড়া অর্থাৎ পাস না করেই টেসলাকে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করতে হয়।

এ খবর যেন পরিবার জানতে না পারে সে জন্য টেসলা গোপনে স্লোভেনিয়া চলে যান। পরে ১৮৭৯ সালে বাবার মৃত্যুর কিছু আগে টেসলা বাড়ি ফিরে আসেন। পরে চাচা-মামারা টাকা জোগাড় করে তাঁকে প্রাগ শহরে পাঠান চার্লস-ফার্ডিনান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য। কিন্তু বেচারা সেখানে পৌঁছানোর পর জানতে পারেন ভর্তির সময় শেষ। তা ছাড়া টেসলা গ্রিক কিংবা চেক ভাষার কোনোটিই জানতেন না। ভর্তি হতে না পারলেও তিনি নিয়মিত লেকচার শুনতেন!

১৮৮১ সালে ফ্রেঞ্চ পুসকাসের টেলিগ্রাফ কোম্পানিতে যোগ দিতে তিনি বুদাপেস্টে যান। শোনা যায়, সেখানে কাজ করার সময় তিনি একটি উন্নত টেলিফোন রিপিটার বা অ্যাম্প্লিফায়ার তৈরি করেন, যদিও সেটা কখনো পেটেন্ট করা হয়নি। এমনকি জনসমক্ষেও দেখানো হয়নি।

এরপর তার জীবনে ঘটে যায় টমাস আলভা এডিসনের সাথে সেই বিখ্যাত ঘটনা যা শুরুতেই উল্লেখ করেছি।

টেসলার তৈরি জেনারেটরের দিকে আকৃষ্ট হয় বিখ্যাত ইলেকট্রিক অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোং ওয়েস্টিং হাউস। তারা প্রচুর আর্থিক সুবিধা দিয়ে টেসলাকে তাদের সহযোগী করে নেয়। অচিরেই এডিসন, থম্পসন-হিউস্টন এবং ওয়েস্টিং হাউস—এ তিনটি বড় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ‘বিদ্যুৎ–যুদ্ধ’। টেসলা অবশ্য খুব বেশি দিন ওয়েস্টিং হাউসের সঙ্গে থাকেননি। তাঁর মাথায় খেলতে থাকা নানা চিন্তাভাবনাকে রূপ দিতে নিজেই গবেষণাগার বানিয়ে কাজ শুরু করেন।

কিন্তু ওয়েস্টিংহাউসে থাকার সময় টেসলা একই সঙ্গে ধনবান হন এবং তাঁর নানান উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগান। তাঁর শক্তিতে বলীয়ান ওয়েস্টিংহাউস চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এডিসনের কোম্পানিকে হারিয়ে বৈদ্যুতিক বিতরণ ব্যবস্থায় ডিসির পরিবর্তে এসিকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়। কিন্তু জীবদ্দশার শেষ পর্যায়ে তিনি গবেষনার পেছনে টাকা শেষ করে দারিদ্র্যতার সম্মুখীন হয়েছিলেন।

টেসলার ছিল মহা মহা সব পরিকল্পনা। অনেকগুলো অদ্ভুত গবেষণা শেষ করতে পারেননি।

১৮৯১ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন তিনি।

পরবর্তী দু–তিন বছরের মধ্যেই টেসলা ৩০টির বেশি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের পেটেন্ট গ্রহণ করেন। যার মধ্যে রয়েছে টেসলা বৈদ্যুতিক অসিলেটর, বিদ্যুতের মিটার, উন্নত প্রযুক্তির নানা ধরনের ইলেকট্রিক বাল্ব, হাই ভোল্টেজ ট্রান্সফরমার ইত্যাদি যন্ত্র। নায়াগ্রা জলপ্রপাতের শক্তি ব্যবহার করে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে টেসলা ১৮৯৩ সালে চুক্তিবদ্ধ হন। এটিই ছিল পৃথিবীর প্রথম আধুনিক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প।

নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ১৮৯৮ সালে রেডিও কন্ট্রোলচালিত একটি ছোট নৌকা চালিয়ে টেসলা সমবেত দর্শকদের অবাক করে দেন। রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে তিনি নৌকাটি চালাচ্ছিলেন। তাই তাকে রোবটিক্স এর জনক ও বলা হয়ে থাকে।

টেসলা তাঁর আবিষ্কারটির গুরুত্ব বুঝতে পেরে মার্কিন সামরিক দপ্তরে তা বিক্রি করতে চান। কিন্তু তারা তাতে খুব একটা উৎসাহ দেখায়নি। অবশ্য পরে অনেক দেশই এ প্রযুক্তি প্রথম মহাযুদ্ধের যুদ্ধকৌশলে ব্যবহার করে।

১৮৯০ থেকে ১৯০৬ সাল পর্যন্ত টেসলা তাঁর শ্রম ও অর্থ ব্যয় করেন তারবিহীন বিদ্যুৎ দেওয়ার যন্ত্র তৈরিতে। যাতে তিনি সারা বিশ্বে সস্তায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারেন। এ জন্য ১৮৯৯ সালে কলোরাডোয় তিনি একটি পরীক্ষাগার স্থাপন করেন। বিদ্যুৎ সরবরাহে নিয়োজিত বড় কোম্পানিগুলো নানাভাবে টেসলার এ কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। ফলে টেসলা শেষ পর্যন্ত এ প্রকল্প নিয়ে আর অগ্রসর হতে পারেননি। তিনি জে পি মর্গ্যানের সহযোগিতায় ১৯০১ সালে নিউইয়র্কের সোরহ্যামে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহে সক্ষম ‘ওয়ার্ডেনক্লিক টাওয়ার’ প্রতিষ্ঠা করেন। এটিও শেষ পর্যন্ত পরিত্যক্ত হয়। অনেক পরে, ১৯১৭ সালে একে পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হয়।

সম্প্রতি টেসলার আরও কিছু গবেষণার বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে। তিনি টাইম ট্রাভেল মেশিন থেকে শুরু করে ফ্লাইং সসারের মতো অদ্ভুতসব গবেষণা করেছেন। এমনকি ডিস্ক শেপের এয়ারক্রাফটের জন্য তিনি পেটেন্ট অ্যাপ্লিকেশন করেছিলেন। একের পর এক অভাবনীয় এই উদ্ভাবন দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়া এই উদ্ভাবককে কড়া নজরদারিতে রাখা হতো।

১৯০৯ সালে রেডিও উদ্ভাবনের জন্য ইতালিয়ান বিজ্ঞানী গুগলিয়েলমো মার্কনি পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরষ্কার পেলেও, তার আগেই রেডিও উদ্ভাবন করেছিলেন টেসলা। তবে দুর্ভাগ্যবশত, দুর্ঘটনায় টেসলার ল্যাবে থাকা রেডিও বিষয়ের সব গবেষণাপত্র আগুনে পুড়ে যায়। যদিও পরবর্তীতে ৬৪ বছর পর ১৯৪৩ সালে রেডিওর প্রকৃত উদ্ভাবক হিসেবে টেসলাকেই ঘোষণা করা হয়।

১৯১১ সালে নিউইয়র্ক এর একটি মাগাজিনকে বলেন নিকোলা টেসলা আরও একটি Flying machine নিয়ে কাজ করছিলেন যেটি দেখতে (UFO) এর মত হবে এবং যেকোন দিকে যেকোন গতিতে ছুটতে পারবে। এটি আকাশে ওড়ার সময় গ্রাভিটি শুন্য হয়ে পড়বে এবং বাতাসে স্থির অবস্থায় রাখা যাবে। কিন্তু এই মেশিনটিতে না থাকবে কোনো পাখা না থাকবে কোনো ডানা ।

নিকোলা টেসলা এর যে কয়টি ভয়াবহ আবিষ্কারের কথা বলে ছিলেন তার মধ্যে একটি ছিল Death Ray. এটি এমন একটি যন্ত্র যা ২৫০ মাইল দূর থেকে ১০ হাজার যুদ্ধ বিমানকে এক সাথে ধ্বংস করে দেয়ার ক্ষমতা রাখতে পারতো এবং যে কোন যুদ্ধকে শেষ করে দিতে পারতো। অনেকে বলেন তিনি এই যন্ত্রটি তৈরিও করে ফেলেছিলেন কিন্তু এটি দিয়ে মানুষ পৃথিবী ধ্বংস করে দেবে চিন্তা করে এই যন্ত্র টিকেও তিনি নষ্ট করে ফেলেন। তার ল্যাবে একাধিকবার আগুন লেগে অনেক আবিষ্কারের ডকুমেন্টই পুরে গেছিলো।

নিকোলা টেসলা পৃথিবী ধ্বংসের যন্ত্র আবিষ্কারের কথা শুনে আমেরিকা তার সব নথী জব্দ করেছিল।
পরবর্তীতে হয়তো USA তার লিখিত ডকুমেন্ট থেকে আবার তৈরি করেছিল। তবে নিশ্চিত ভাবে কেউ বলতে পারে নি।

এরকম বিস্ময়কর আবিষ্কারের জন্য অনেক বিজ্ঞানীই মনে করতেন Nikola Tesla এর সাথে এলিয়েনদের যোগাযোগ রয়েছে এবং তাঁদের সাথে কাজও করেন। সত্যি বলতে তার সম্পর্কে জানার পর আমার নিজের কাছেও তাকে এলিয়েন মনে হয়েছিলো।

টেসলা বেঁচে ছিলেন ৮৬ বছর বয়স পর্যন্ত, ১৯৪৩ সালের ৭ জানুয়ারি নিউইয়র্কের একটি হোটেলে চরম দারিদ্র্যের মাঝে মারা যান টেসলা। সারা জীবন বিয়ে করেননি। কাজপাগল মানুষটা ঘুমাতেন রাতে মাত্র ২ ঘণ্টা। টেসলার ছিল ফটোগ্রাফিক মেমরি—কিছু একবার দেখলে ভুলতেন না। যেকোনো যন্ত্র নকশা করতেন মনে মনেই। কাগজ-কলমে খসড়া করা লাগত না। বিদ্যুৎশক্তিকে মানবজাতির হাতের মুঠোয় এনে দেওয়া এই মানুষটির কাছে মানবসভ্যতা চিরঋণী হয়ে থাকবে, তখনো, এখনো এবং আরও বহুকাল। বজ্রবৃষ্টির রাতে জন্ম নেওয়া টেসলার মুখ দেখে মা যেমন বলেছিলেন, এই ছেলে বিশ্বে আলো এনে দেবে, সারা জীবনের নানা কাজের মাধ্যমে টেসলা মায়ের সেই কথাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।

তার জিনিসপত্র উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিলেন টেসলার ভাগ্নে সাভা কোসানোভিচ। এগুলো পরে বেলগ্রেডের নিকোলা টেসলা মিউজিয়ামে রাখা হয়। তার এই পাগলামো গবেষনার কারনেই আজ পৃথিবী এতো উন্নত ও আলোকিত।

তথ্যসূত্র:-
http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_Nikola_Tesla_patents
http://en.wikipedia.org/wiki/War_of_Currents
http://listverse.com/2012/06/07/10-ways-edison-treated-tesla-like-a-jerk/
http://www.abovetopsecret.com/forum/thread778810/pg2
http://vault.fbi.gov/nikola-tesla
http://www.nikolateslatour.com/blog/2012/05/26/did-guglielmo-marconi-or-nikola-tesla-invent-radio/
http://answerglobe.com/education/5213
http://www.pbs.org/tesla/ll/ll_whoradio.html
http://www.teslasociety.com/exhibition.htm