চট্টলা সংবাদ প্রতিবেদন:
২০১১ সাল থেকে বাংলাদেশে মূলধারার ই-কমার্স ব্যবসার শুরু হলেও করেনাকালীন সময় থেকে অস্বাভাবিক ভাবে তা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেসকল ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স প্রতিষ্ঠানের দৈনিকগড় অর্ডার ছিল হাতে গোনা তাদের অর্ডার হাজার ছাড়িয়েছে, যাদের অর্ডার হাজার ছিল তাদের লাখ ছাড়িয়েছে। একই সাথে পণ্য ডেলিভারির চাহিদাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রচলিত কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ট্রেডিশনাল সার্ভিস নিয়েই দারুণ ব্যস্ত এবং তাদের পক্ষে অনলাইন অর্ডারের পণ্য ডেলিভারি করা এবং সার্ভিস নি:শ্চিত করার সম্ভব হয়নি বলে বাংলাদেশে বেশকিছু নতুন কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানের জন্ম হয়েছে। যাদের মধ্যে বেশকিছু কোম্পানি প্রতিদিন গড়ে ১ লাখের বেশি পার্সেল ডেলিভারি করে থাকে। এছাড়াও বেশিরভাগ অনলাইন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ডেলিভারিম্যানও রয়েছে, তবে তাদের মাধ্যমে সীমিত পরিসরে পণ্য ডেলিভারি করে থাকে যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য।
শুরুর দিক থেকেই কোন কোন কুরিয়ার ভালো সার্ভিস দিলেও বেশকিছু কুরিয়ারের সেবা নিয়ে উদ্যোক্তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ ছিল যার মধ্যে অন্যতম হলো সঠিক সময়ে ডেলিভারি না করা, পণ্য ডেলিভারির পরে সঠিক সময়ে পেমেন্ট না করা, কাস্টমারের সাথে ডেলিভারিম্যানদের খারাপ আচরণ করা, রিটার্ন প্রোডাক্ট সঠিক সময়ে ফেরত না দেওয়া কোন কোন ক্ষেত্রে আবার প্রোডাক্ট হারিয়ে ফেলা অন্যতম।
বাংলাদেশের কুরিয়ার সেক্টরে আস্থা নিয়ে আসা এবং উদ্যোক্তা বান্ধব কুরিয়ার হিসেবে ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স এর পণ্য গ্রাহকের কাছে সঠিক সময়ের মধ্যে ডেলিভারির করার লক্ষ্য নিয়ে ১৩ই মার্চ ২০২২ সালে এম্ভিনেস লজিস্টিক যাত্রা শুরু করে।
ফ্রান্স এবং মালয়েশিয়া প্রবাসী দুজন বাংলাদেশী তরুণ নিজ দেশে বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, কুরিয়ার সমস্যার সমাধান, ডিজিটাল লজিস্টিকস সেবা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে তাদের স্বপ্নযাত্রা শুরু করেন।
এম্ভিনেস কুরিয়ারের চেয়ারম্যান এস.কে শামীম ফ্রান্স প্রবাসী। ফ্রান্সের প্যারিসে অটোক্লিন এক্সপ্রেস নামে তার আরো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে এম.ডি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। একইসাথে আমরা বাংলা নামে এ গত বছর আরো একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন যা ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভাষা শিক্ষা থেকে শুরু করে ওয়ার্ক পারমিট, এবং নানা ধরণের সেবা দিয়ে থাকে প্রবাসীদের।
অন্যদিকে এম্ভিনেস এর কো-ফাউন্ডার অ্যান্ড সিইও মো:নিয়াজুল ইসলাম রনি মালেশিয়াতে গ্রাজুয়েশন শেষ করে পৃথিবীর সব বিখ্যাত লজিস্টিকস এবং সাউথ ইস্ট এশিয়ার সবচেয়ে বড় ই-কমার্স কোম্পানির সাথে কাজ করেছেন। ওয়াল্ড ওয়াইড সোসিং এন্টারপ্রাইজের হেড অব বিজনেস অপারেশন, শপি পিটিই লি: এ হেড অব বিজনেস এনালাইসিস, ইন্সটাপের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার, দ্য লরি ডট কম এর হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট সহ আরো বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করেছেন। তাদের এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন সুইজারল্যান্ড প্রবাসী ১৫৩ টি দেশের ওয়াল্ড বিজনেস লজিস্টিকস নেটওয়ার্ক এর ফাউন্ডার এবং চেয়ারম্যান আনিস খান।
সবচেয়ে কম খরচে ডেলিভারির সুবিধা এবং সঠিক সময়ে পেমেন্ট সম্পন্ন করায় ইতোমধ্যেই এম্ভিনেস গ্রাহকের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যেক্তা থেকে শুরু বাংলাদেশের প্রথম সারির অনেক অনলাইন প্রতিষ্ঠান এম্ভিনেসের মাধ্যমে তাদের পণ্য ডেলিভারি করছে। বর্তমানে উল্লেখযোগ্য কেম্পানির মধ্যে রয়েছে রকমারি ডট কম, এইম গ্লোবাল, ফ্যাশন ফিল্ড, সারা লাইফস্টাইল, সেবা ইলেক্ট্রনিক্স, ইউএসবাংলা গ্রুপ, দ্য মল ইত্যাদি।
আগামীতে লজিস্টিক সেবাকে আরো সহজ ও স্মার্ট করতে এ সুপার অ্যাপের মাধ্যমে সেবা প্রদানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে এম্ভিনেস। ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সকল উপজেলায় নিজস্ব হাব স্থাপনের জন্য বর্তমানে তারা যাচাই-বাছাই শুরু করেছেন। বাংলাদেশে থেকে বিশ্বের যেকান দেশে পণ্য পাঠানো বা বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে এম্ভিনেস। ইতোমধ্যেই ফ্রান্সের প্যারিস শহরে এবং সুইজারল্যান্ডের জুরিখে তাদের অফিস খোলা হয়েছে।
এম্ভিনেস সম্পর্কে জানতে যে কেউ তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেইজ ভিজিট করতে পারবে।
*এছাড়াও যেকোন তথ্য জানতে তাদের হটলাইনে যোগাযোগ করার সুযোগ রয়েছে*।
*ফেসবুক পেইজ:* https://www.facebook.com/AmvinesLogistic
*ওয়েবসাইট:* www.amvines.com
*হটলাইন:* 09613 824466