চট্টলা সংবাদ প্রতিবেদন:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাটলট্রেনে দুর্ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে উপাচার্যের বাংলো, শিক্ষক ক্লাব এবং পরিবহন ভাংচুরের ঘটনায় ৩টি অজ্ঞাত মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় আরও মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় চবি উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপাচার্য নিজেই।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের বটতলী স্টেশন থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা রাত সাড়ে ৮টার শাটলট্রেন চৌধুরীহাট এলাকায় এলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা জানান, শাটলট্রেন চৌধুরীহাট পার হওয়ার সময় ছাদে থাকা শিক্ষার্থীরা হেলে পড়া গাছের ডালের আঘাতে গুরুতর আহত হন। এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায়। এছাড়া কয়েকজন চলন্তট্রেনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, আহতের সংখ্যা প্রায় ২০ এর অধিক। এরমধ্যে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাটলট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ বক্সের বেশকিছু চেয়ার ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে তারা উপাচার্যের বাংলো, শিক্ষক ক্লাব এবং পরিবহন দফতরে থাকা অন্তত ৬৫টি গাড়ি ভাংচুর করেন। তবে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আন্দোলনের একপর্যায়ে চবি ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপ-গ্রুপ ভিএক্স ও সিক্সটি নাইনের অনুসারীরা নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়ালে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়েন। পরবর্তীতে ছাত্রলীগের একাংশের অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে অবস্থান নেন৷ এসময় তারা আন্দোলনে জামাত বিএনপির ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেন। ছাত্রলীগের এমন বক্তব্যের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরও একই বক্তব্য দেন গণমাধ্যমে। পরবর্তী আন্দোলনকে ঘিরে ছাত্রলীগের অনুসারীদের বিভক্তি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।