চট্টলা সংবাদঃ
দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশস্ত্র বাহিনী এখন বৈশ্বিক মানে উন্নীত জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেছেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ছাড়া এটা সম্ভব হতো না।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে বৈকালিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সে লক্ষ্যে আর্ম ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই সাথে আরও অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালের পর দেশে গণতান্ত্রিক ধারাই ছিল না। তবে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। আমরা দেশের মানুষের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে চাই। দেশের এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি বা এগিয়ে চলা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
জ্বালাও-পোড়াও দেশের মানুষ চায় না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ পুড়িয়ে মারা কেমন আন্দোলন, আমার বোধগম্য নয়। জনগণের লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় বসার এ কেমন মানসিকতা? মানুষ যখন স্বস্তিতে ছিল, তখন সহিংসতা, হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি মানুষের জীবনকে শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে। আমার আশা, যারা এসব করছে, তারা গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরবে।
সেনা সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। কিন্তু সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আঘাত এলে যাতে প্রতিহত করা যায়, সেই প্রস্তুতি রাখতে হবে।
দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নয়ন শুধু রাজধানী পর্যন্ত সীমাবদ্ধ না, প্রত্যেক গ্রামে উন্নয়ন করেছে সরকার। সমাজের কোনো শ্রেণির মানুষ নিচে পড়ে থাকবে না।
এর আগে সকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছলে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম. নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাকে স্বাগত জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান। সেখানে তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।