বৃহস্পতিবার , ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানাল কানাডা, দাবি জানাল হত্যাকাণ্ডের পক্ষপাতিত্বহীন তদন্তের

চট্টলা সংবাদ প্রতিবেদন:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে কানাডা। একই সঙ্গে বাংলাদেশে চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং সব হত্যাকাণ্ডের পক্ষপাতহীন তদন্ত দাবি করেছে দেশটি। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি।

কানাডার সরকারি ওয়েবসাইটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক শাসনের পথ বের করা, যে পথ হবে সবার অংশগ্রহণমূলক। এই প্রক্রিয়ায় কানাডা সরকার যুক্ত হতে চায়।

মানবাধিকারের প্রতি সম্মান, আইনের শাসন মেনে গণতান্ত্রিক রীতি ও অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনের নীতিতে সব দলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি। তিনি বলেন, সবার অংশগ্রহণ বলতে সেখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, যুব সমাজ, নারী ও অন্য সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ থাকতে হবে।

চলমান এই সহিংস পরিস্থিতিতে সবাইতে সংঘাতের পথ এড়িয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে কানাডা। একই সঙ্গে মত প্রকাশের স্বাধীনতা চর্চার জন্য ইন্টারনেট ও অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থার পুরোপুরি সুযোগ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

এর আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভকামনা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দলটির নেতা রাহুল গান্ধী পৃথক এক্স পোস্টে মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান। অভিনন্দন ও শুভকামনা জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এ ছাড়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীন এবং মালয়েশিয়াও।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তাঁর টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়।

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গত তিন দিন দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। এই অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়।