বুধবার , ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পেকুয়ায় জানাজার মাঠ দখল করে শ্রমিকদল নেতা আজমীরের নেতৃত্বে দোকানপাট নির্মাণ

চট্টলা সংবাদ প্রতিবেদন :

পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের( ৬ নং ওয়ার্ড)বাইন্যাঘোনার জানাযার মাঠ দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন শ্রমিক দল সভাপতি আজমগীরের বিরুদ্ধে । এই ঘটনায় এলাকাবাসী সড়ক ও জনপদ বিভাগে অভিযোগ করলে, দখলমুক্ত করতে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে ।

একাতা বাজার – মগনামাঘাট সাবমেরিন মহাসড়কের কাটাফাড়ি ব্রিজের বামপাশে সওজ অধিগ্রহণকৃত জায়গায় প্রায় ২০ বছর যাবত তিন এলাকার লোকজন জানাযা এবং ঈদগাহ মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন। আওয়ামী সরকার পতনের পর ৫ আগষ্ট রাতে শ্রমিকদল নেতার নেতৃত্বে এই জায়গা দখল করে দোকান ঘর নিমার্ণ করা হয়েছে।

এলাকাবাসী বলেন, এলাকায় আর কোথাও খোলা মাঠ না থাকায় আমরা এই মাঠে জানাযা এবং ঈদের নামাজ আদায় করি। দীর্ঘ ২০ বছর যাবত সওজের এই জায়গা এলাকাবাসী ব্যবহার করে আসলেও শ্রমিকদল নেতা রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে দখল করে নেয়, যার ফলে এলাকাবাসী আগামীতে জানাযার নামাজ পড়তে না পারার সংকীর্ণতায় ভোগছেন। আমরা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে ও অভিযোগ করে তাদের সুষ্ঠ কোন পদক্ষেপ পায়নি। সওজে অভিযোগ করলে তারা ৩ দিনের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দিলেও এখন ও অবৈধ স্থাপনা বহাল তবিয়তে আছে।

কিন্তু শ্রমিক দল নেতা আজমগীর কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে জানাযার মাঠের জায়গা দখল করে দোকান ঘর তৈরি করে দোকান বাড়া দিয়েছে।
জানা গেছে, সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে জায়গা দখল মুক্ত করার জন্য আজমগীরকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের কথা ও চিঠির কর্ণপাত না করে দোকান ঘর নির্মাণ ও সরকারি জায়গা দখল করে টিনের ঘর নির্মাণ কাজ চলমান। ১০/০৩ চিঠি দিয়েও কোনো কাজ হয়নি । চিঠির অনুলিপি পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের এক নেতা বলেন, আজমগীর মগনামা শ্রমিকদল সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে আছেন। এলাকাবাসী বিষয়টা নিয়ে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন, আমারা তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছি এলাকাবাসী যদি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্তা নেয় তাদেরকে সহয়তা করব। সে যদি দখল করে থাকে তাহলে বিএনপি তার কোন দায়ভার নিবে না।

এই বিষয়ে কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের চকরিয়া জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, আমাদের সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গার ওপর একটি দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়।এই পতিত জায়গা বাইন্যাঘোনা এলাকার জানাযার মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে আসছিলেন।কিন্তু আগস্টের শেষের দিকে শ্রমিক দলের এক নেতা পরিচয়ে এই জায়গা দখল করে নেয় । এলাকাবাসী আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা সরজমিনে গিয়ে তিন দিনের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি যদি আইন অমান্য করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।