চট্টলা সংবাদ প্রতিবেদন :
এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, ‘আপনারা যারা লেখক এবং সাংবাদিক, আপনারাই এই দেশ এবং সমাজের আয়না। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার এমন এক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে যে, অনেক সাংবাদিককে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে। আমরা এমন একটি দেশ চাই না, যেখানে সাংবাদিক, লেখক, সাহিত্যিক, বা প্রেসক্লাবের সভাপতিকে দেশ ছাড়তে হবে।’
শনিবার রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় মঞ্জু এ কথা বলেন। সভাটি ছিল ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে লেখক-সাংবাদিকদের ভূমিকা’ শীর্ষক। এই মতবিনিময় সভায় সাংবাদিক ও লেখকরা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মতামত দেন।
লেখক ও সাংবাদিক সৈয়দ তোশারফ আলী মতবিনিময় সভায় বলেন, ‘বর্তমান সরকার রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের লক্ষ্যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, যা আমরা স্বাগত জানাই। তবে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো দুর্নীতি। যদি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সঠিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে রাষ্ট্রের অধিকাংশ সমস্যার সমাধান হবে। দেশের সুষ্ঠু পরিচালনা তখনই সম্ভব, যখন আইন-শৃঙ্খলা, ন্যায়বিচার এবং জনগণের অধিকার বাস্তবে প্রতিষ্ঠা পাবে। এটি কেবল কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবতায় প্রতিফলিত হতে হবে।’
সাংবাদিক নেতা এবং কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, ‘শেখ মুজিব একজন সংগ্রামী নেতা হলেও, তিনি বড় মাপের ফ্যাসিবাদের প্রতীক। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরেও এই ফ্যাসিবাদের প্রতীক কিছু উপদেষ্টার মধ্যে থেকে গেছে। তাঁরা সংবিধানের পক্ষে কথা বলছেন। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এই সরকার একটি গণ-অভ্যুত্থানের বিপ্লবী সরকার। তাদের অন্যতম প্রধান কাজ হবে বর্তমান সংবিধান পরিত্যাগ করে নতুন একটি সংবিধান প্রণয়ন করা, যা দেশের ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত করবে, কারণ বর্তমান সংবিধান তাদের চাহিদা পূরণ করছে না।’
সাংবাদিক আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাসাসের সাবেক সভাপতি রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি এম আবদুল্লাহ, সাংবাদিক ও গবেষক শামীমা চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা জাহাঙ্গীর আলম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও গবেষক আহমেদ মতিউর রহমান, কবি ও লেখক ফজলুল হক খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য শাহনাজ পলি এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নাসরিন গীতি প্রমুখ।
